দ্বীপশিখা- বোনটি

 পৃথিবীটা এমনই। শুধু আসা আর যাওয়া। মাঝের সময়টুকু স্মৃতির জগৎ তৈরি করে প্রিয় মানুষকে কষ্ট দেওয়া। ফাল্গুনি মুখোপাধ্যায়ের কথা মনে পড়ে, -তোমায় আমায় মিলেছি প্রিয়, শুধু চোখের জলের ব্যাবধান টুকু রইল।-

আজ অনেকদিন বাদে হারানো বেদনার কথা মনে পড়ে গেল। একটা পাখি বাসা বাধে কত স্বপ্ন কত সাধনায়। তারপর সেই বাসায় তার বসবাসের সৌভাগ্যটুকু হয়না। সে চলে যায় অজানা অচেনায়, অসীম সীমায়। তারে উৎসর্গ করবার ক্ষমতা থাকুক বা না থাকুক, আটকাবার ক্ষমতা আমাদের নেই। তাই রবীন্দ্রনাথের ভাষায় বলি, ”যে আমারে দেখিবারে পায় অসীম ক্ষমায় ভালোমন্দ মিলায়ে সকলি, এবার পূজায় তারি আপনারে দিতে চাই বলি।”

ভাল থাকুক সে; এই আমাদের প্রত্যাশা। অনেক অনেক দোয়া, অফুরন্ত শুভকামনা আর বুকভরা ভালবাসা রইল। কিছুই করতে পারিনি তার জন্য। কবিতা লিখতে সময় লাগে; মনের ভেতর আলাদা জগতের স্ফুরিত অনুভূতি গুলো কবিতা হয়ে বের হয়। মন না মতী, তবু চেষ্টা করলাম-

সানজিদা নাহার শিখা’র জন্য-

[[[ দ্বীপশিখা ]]]

”দু’ফোটা চোখের জল আর স্মৃতির অমানিশা
গতি হারা জলপথে নাবিকের আলো-আশা
যে পথে চলে যায় মমতার মরুছায়া
অপার আনন্দের মধুমাখা মোহমায়া
ফেরেনা কেন আর থাকেনা পথধারে
বুঝি রবে প্রিয়া মোর জীবনের ওপারে।
থাকো তুমি যত দুরেই কিংবা থাকো তুমি অসীমে
তোমারে দেখেছি তোমায় মিলায়ে পৃথিবীর সসীমে।
পৃথিবীর আলো আকাশ, পৃথিবীর মাটি বাতাস
অপার মায়া-বন্ধনের ছিন্ন মুকুট, জীর্ণ শীর্ণ মৌলিখা,
তুমি আছো, তুমি রবে, তোমার সুগন্ধের তীর্থে
তুমিইতো একক অনির্বাচিত সূচারিণী দ্বীপশিখা।”

‪#‎Unexpected_Impression‬

‪#‎Reza‬



Popular posts from this blog

সেকায়েপ শিক্ষকদের দৈন্যদশা-সমকাল

উদ্যোগ নেওয়া জরুরি নয় কী?- কালের কন্ঠ

একদিন স্বপ্নের দিন