Posts

একদিন স্বপ্নের দিন

Image
২০১৫ সালের শেষদিক । রাসেল মামার বিয়ের দিন গুলির কোন একদিন হবে । রাসেল মামার তখন চট্টগ্রামে চাকরির পোস্টিং । ছুটিতে এসেছেন , সঙ্গে মলি আন্টি । শশুর বাড়ি থেকে মামার শাশুড়ি , শশুর এবং মিশু আন্টিও এসেছেন । দুপুরের খাবারের পর খোলা আকাশে কিছু সময় কাটানোর জন্য সবাইকে নিয়ে বের হলাম । খোলা মাঠ , সরষের মৌসুম , পুরো মাঠ জুড়ে সরিষা ফুলে হলুদ বর্ণের সমারহ । অসাধারন প্রকৃতির সাথে অনন্যসাধারন মুহুর্ত । সুমি , সানজিদা , মীম , শিউলি , ইমন , সুমন , সুমাইয়া , সুরাইয়া - আমার সবথেকে প্রিয় কিউট ভাইবোন গুলির সাথে কিছু চমৎকার সময় কাটালাম আর ক্যাপচার করলাম তারই কিছু মুহুর্ত । সরিষার ফুল নিয়ে কাড়াকাড়ি - মারামারি । মাথায় ফুল গুজে পোজদিয়ে ছবি তোলা । ছোট্ট একটা ব্রীজ আছে - সেখানে গিয়ে সবাইকে নিয়ে তুললাম সেলফি । মিশু আন্টি অনেক মজা করলেন । মলি আন্টির সাথে সেলফি তুললাম । পিচ্চিদের সাথে দৌড় প্রতিযোগিতা করলাম । সময়টাকে স্মৃতির পাতায় ধরে রাখার জন্যই আজকে...

দাদীকে মনে পড়ে

Image
চাইলেই সব অনুভূতি প্রকাশ করা যায় না কিংবা চাইলেই সব পরিনতি মনের মত হয়না। বছরের পর বছর একসাথে থেকেও মানুষ চেনা যায়না।  জীবনের দৌড়ে সবাই জিততে পারেনা! সপ্তাহের সব দিন যেমন একরকম কাটেনা! এর মধ্যে কতগুলো শুক্রবার কেটেছে আমার কর্মস্থল আর রাজাদের শহরে যাতায়াতে। শরীরটাও বেশ ক্লান্ত। এর মধ্যে মৃত্যু দেখতে হচ্ছে একের পর এক। স্বজনদের বাড়িতে বুঝি এবার শুরু হলো যমদূতের নিয়মিত যাতায়াত! দেখতে হয়েছে মৃত্যুকে ঘিরে মানুষের আদিখ্যেতা। দাদী বলতো, "এতো বাহাদুরি করতেছো! আজ মরলে কাল হবে সাতদিন।" আজকে দাদীর কথাটা মনে পড়ছে। দাদী মারা গেছে আজ ১৪ দিন পার হয়ে গেলো। দাদীর কবরের পাশে বসে থাকতে ভালো লাগে। দাদীকে না বলতে পারা কথাগুলো বলতে ভালো লাগে। দাদীর জন্য কিছু করার ইচ্ছে জাগে। বেঁচে থাকতে আমাদের এই অনুভূতি গুলো হয়না। কারন আমরা দুনিয়ার মোহে এতোটাই মেতে থাকি যে মৃত্যুর কথা ভুলে যাই। প্রিয় মানুষগুলো যে একদিন আমাদের ছেড়ে চলে যাবে তা ভুলে যাই।  হসপিটাল থেকে বাসায় চলে আসার জন্য আমি দাদীর উপর অনেক রাগ করেছিলাম। ২/৩ দিন কথা বলিনি। দাদী বিছানায় শুয়ে সবাইকে বলতো, "আমার নাতি আমার উপর রাগ করছে মা, একটু বলিস...

সেকায়েপ শিক্ষকদের দৈন্যদশা--ইত্তেফাক

Image
দৈনিক ইত্তেফাক ৩০ নভেম্বর, ২০১৭

উদ্যোগ নেওয়া জরুরি নয় কী?- কালের কন্ঠ

Image
দৈনিক কালের কন্ঠ ২০ নভেম্বর, ২০১৭ উদ্যোগ নেওয়া জরুরি নয় কী? বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশন (বিটিআরসি) এর উদ্যোগে বাংলাদেশ থেকে এক্সেসিবল এমন সকল নগ্ন ভিডিও ও ছবি প্রদর্শনকারী ওয়েবসাইট বন্ধ করার উদ্যোগ নেয়া হয় গত কয়েক বছর আগে। কিন্তু অদ্ভুদ ব্যাপার হচ্ছে, যেসকল ওয়েবসাইট বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি ব্যাবহার হয় সেসকল ওয়েবসাইটের অধিকাংশ আজও বহালতবিয়তে এক্সেসিবল রয়েগেছে এবং যথারীতি বাংলাদেশের বখে যাওয়া পুরুষ মানুষ নামের ধর্ষকেরা ধর্ষণের ভিডিও চিত্র ধারন করে এসকল ওয়েবসাইটে আপলোড করছে নিয়মিত, যা মুহুর্তে পৌঁছে দিচ্ছে সারা পৃথিবীতে। তাই একবার আপলোড করা ভিডিও আর মুছেফেলা সম্ভমপর হয় না। ফলশ্রুতিতে দেখা যায় যে, মেয়েটি ধর্ষণের পর বেঁচে থাকলেও কোনদিন সে সমাজে মাথা আর উঁচু করতে পারেনা অথবা নিয়মিত ঐ ভিডিও দ্বারা তাকে ব্ল্যাকমেইলড হতে হয়। এমন ঘটনার ধারাবাহিকতা আমরা নিয়মিত দেখি। কিছুদিন আগে রূপা নামের মেয়েটিকে চলন্ত বাসে ধর্ষণ করে ঘাড় মটকে হত্যার ঘটানায় ধর্ষকদের মোটিভে নতুন মোড় দেখা যায়। দর্ষকরা এখন আর শুধু ধর্ষণ করেই ক্ষান্ত হচ্ছে না বরং যাতে মেয়েটি আদালতে মামলায় না লড়তে পারে সে জন্য...

সেকায়েপ শিক্ষকদের দৈন্যদশা-সমকাল

Image
দৈনিক সমকাল ১৪ নভেম্বর ২০১৭ সেকায়েপ শিক্ষকদের দৈন্যদশা গত চারমাস যাবৎ বন্ধ হয়ে আছে মাধ্যমিক শিক্ষার মান উন্নয়ন প্রকল্প- সেকায়েপ (সেকেন্ডারী এডুকেশন কোয়ালিটি এন্ড একসেস এনহ্যান্সমেন্ট প্রজেক্ট) এর অতিরিক্ত শ্রেণি শিক্ষক (এসিটি) দের বেতন-ভাতা। চার মাস যাবৎ মানবেতর জীবনযাপন করছেন এই শিক্ষকেরা। ২০১৫ থেকে ২০১৭ সালের মধ্যে সারা দেশের ৬৪টি জেলার নির্ধারিত উপজেলায় অবস্থিত ২ হাজার স্কুল ও মাদ্রাসায় প্রায় ৬ হাজার অতিরিক্ত শ্রেণি শিক্ষক (এসিটি) চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ করা হয়। প্রতিটি স্কুলে ৩ জন করে শিক্ষক নিয়োগ করা হয় যাদের নিয়োগের চুক্তির মেয়াদ ছিলো ২০১৭ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত। কিন্তু নিয়োগ পাবার পর থেকেই এই শিক্ষকরা বেতন সংক্রান্ত সমস্যায় ভূগছেন। জুলাই মাসের অর্ধেক বেতন আগস্ট মাসের শেষে পাওয়ার পর থেকে তাদের বেতন বন্ধ রয়েছে। ফলে এই তরুণ শিক্ষকরা চরম অর্থকষ্টে দিন কাটাচ্ছেন। য়ার প্রভাব পড়ছে তাদের পাঠদানেও। এমনকি জুলাই ও আগস্ট মাসে নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষকেরা আজ পর্যন্ত কোন বেতনের মুখ দেখতে পারেননি। এদিকে ২০১৭ সালের ডিসেম্বর মাসে প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হয়ে যাচ্ছে। মেয়াদ শেষে এসিটি শিক...

প্রকল্প: এমনটা কেন হয়?- ইত্তেফাক

Image
দৈনিক ইত্তেফাক ০৪ অক্টোবর ২০১৭